গল্পের নাম: মোটা মামা
গ্রামের নাম সুখনগর। সেই গ্রামে থাকতেন একজন অদ্ভুত মজার মানুষ — নাম তার হারুন মিয়া, কিন্তু সবাই তাকে ডাকত “মোটা মামা” বলে। তার গায়ের ওজন ছিল একশো কুড়ি কেজি! মুখে সবসময় হাসি, হাতে থাকত মিষ্টির থলে। যেখানেই যেতেন, লাল রঙের লুঙ্গি আর ঢোলা পাঞ্জাবিতে জয়জয়কার।
মোটা মামা খেতে ভালোবাসতেন। ভাত, গরুর মাংস, জিলাপি, মিষ্টি — যা পেতেন, তা খেতে খেতে গল্প বলতেন। কিন্তু একদিন বাজারে হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যান! সবাই দৌড়ে এসে তুলে বলল, “মামা, এবার একটু নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখেন। নাহলে তো চলা মুশকিল।”
মোটা মামা প্রথমে হেসেই উড়িয়ে দিলেন, “আমি তো হাসতে হাসতেই বাঁচি!” কিন্তু রাতে ঘরে ফিরে হাঁটুর ব্যথায় ঘুম আসল না। ভাবলেন, “যদি ওজন কমাই, তাহলে তো আর কারো দয়া লাগে না।”
পরদিন ভোরেই শুরু করলেন হাঁটা। সকালে ভাত কম, সবজি বেশি। বিকেলে জিলাপি ছেড়ে দিলেন। প্রথম এক সপ্তাহে সবাই অবাক! মোটা মামা হাঁটছেন, ডিম সিদ্ধ খাচ্ছেন, আর আরাম করে শ্বাস নিচ্ছেন।
দিন যায়, মাস যায় — মোটা মামা ধীরে ধীরে রোগা হতে থাকেন। একদিন গ্রামের হাটে এলেন একদম নতুন রূপে! সবাই চমকে উঠল — এখন আর তাকে “মোটা মামা” বলে ডাকে না, সবাই বলে “ফিট মামা”!
কিন্তু পুরোনো মজা এখনও আছে। এখনো হাসেন, গল্প বলেন, শুধু বদলেছেন নিজের অভ্যাস। আর বলেন,
“নিজের শরীর নিজের সম্পদ। যত্ন না নিলে জীবনও হাসে না।”
শিক্ষণীয় কথা:
স্বাস্থ্য আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যতই মজা করি, ভালো থাকতে হলে নিজের শরীরের খেয়াল রাখা দরকার।
