দেশের সব বার্ন ইউনিটকে একটি নির্দিষ্ট শর্টকোডে আনা এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।



দেশের সব বার্ন ইউনিটকে একটি নির্দিষ্ট শর্টকোডে আনা এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে এরই মধ্যে বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সি হেল্পলাইন নম্বরকে সাময়িক সময়ের জন্য টোল ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সেবা প্রত্যাশীরা সহজেই এবং বিনা খরচে বার্ন ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সোমবার (২১ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

প্রাণহানি ও আহতের ঘটনায় শোক জানিয়ে তিনি বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটরদের সহায়তায় বার্ন ইউনিটের ইমার্জেন্সি নাম্বার গুলোকে সাময়িকভাবে টোল-ফ্রি করা হয়েছে। দেশের সবগুলো বার্ন ইউনিটকে একটি মাত্র শর্টকোডে এবং ৯৯৯ এর ইমার্জেন্সি কল সেন্টারে যুক্ত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।তিনি আরও বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই দুঃসময়ে শোকাহত পরিবারের পাশে থাকার এবং পূর্ণ সহানুভূতি ও সহমর্মিতার কথাও জানান তিনি।

এর আগে, আজ দুপুর ১টার পর রাজধানীর উত্তরায় দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে এবং বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপর উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। উত্তরাসহ আশপাশের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হতাহতদের উদ্ধার করা শুরু করে। পরে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেয় বিজিবি ও সেনাবাহিনী। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url